ডেস্ক নিউজ : আজ গৌরবের ২৬শে মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনেই স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়ে রক্তাক্ত পথচলা শুরু বাংলাদেশের। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের যোগ্যতা অর্জনকারী বাংলাদেশে আজ ৪৮তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণে মন্ত্রমুগ্ধ বাঙালি এই দিনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তির যুদ্ধে, ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলেছিল সাধারণ মানুষ। রাইফেল হাতে ছুটেছিল দামাল ছেলে। ৯ মাসের গণযুদ্ধের পর এসেছিল বিজয়। উড়েছিল বিজয় নিশান। ১৬ই ডিসেম্বর সূচিত বিজয়ের আগে এই উত্তাল মার্চই হয়ে উঠেছিল প্রেরণার উৎস, অভিযাত্রার শুরু।
গতকাল দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন হয়েছে দেশজুড়ে। আজ লাল-সবুজ পতাকা হাতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অভিবাদন জানাচ্ছে জাতি। আজ এগিয়ে চলার প্রত্যয় নেবে দেশের মানুষ।
জাতি আজ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করবে স্বাধীনতার জন্য প্রাণোৎসর্গকারী বীর সন্তান, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় নেতা, গণহত্যায় প্রাণ দেওয়া লাখো সাধারণ মানুষ ও ইজ্জত হারানো মা-বোনদের। আজ সরকারি ছুটি।
আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সময় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সারা দেশে ও বিদেশে একযোগে একই সময় শুদ্ধ সুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হবে।
সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে কর্মসূচিতে অংশ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এর আগে আহ্বান জানানো হয়েছে।